মঙ্গলদৈঃ সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থা(আসু)এবং ৩০টি জাতীয় সংগঠনের ডাকে আসুর স্থানীয় শাখা এবং শিল্পী সমাজ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে এখানকার ভেবারঘাট ফিন্ডে সোমবার এক বিশাল প্ৰতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। ‘গণ হুংকার’ নামে আয়োজিত এই সমাবেশে মহিলা ও বরিষ্ঠ নাগরিক সহ কয়েকশো মানুষ অংশগ্ৰহণ করেন। আসুর মুখ্য উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য,এজেওয়াইসিপি-র সাধারণ সম্পাদক পলাশ চাংমাই,আসুর কার্যনির্বাহী সদস্য উৎপল কুমার শর্মা,শিল্পী বাবু বরুয়া,অজয় ফুকন এবং নেকিব রহমান সহ প্ৰায় ডজন খানেক বক্তা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
আসু নেতা ভট্টাচার্য তাঁর ভাষণে বলেন,‘ক্যা প্ৰত্যাহার করতেই হবে। এনিয়ে কোনও আপস করা যাবে না। অসমের মানুষ বিশ্ৰাম নেবেন না যতক্ষণ না ক্যা তুলে নেওয়া হচ্ছে’। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি বলেছেন,গণতান্ত্ৰিক আন্দোলনের প্ৰতি তাঁদের শ্ৰদ্ধা রয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়ালও গণতান্ত্ৰিক আন্দোলনের প্ৰতি তাঁদের শ্ৰদ্ধার কথাই বলেছেন। ‘যদি সেটাই হয় তাহলে রাজ্যের মানুষের নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তাদের প্ৰত্যাহার করে নেওয়া উচিত’-উল্লেখ করেন ড. ভট্টাচার্য। ‘ক্যা সম্পর্কে জনগণকে বোঝাতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। উল্টে শান্তি সমাবেশের পথ অনুসরণ করে সরকার এবিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা করে চলেছে’। অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্ৰ পরিষদের(এজেওয়াইসিপি)সাধারণ সম্পাদক পলাশ চাংমাই বিজেপি সরকারের অসম ও উত্তর পূর্বাঞ্চল বিরোধী নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন,তারা ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। প্ৰতিবাদকারীরা ক্যার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগানও দেন এদিন। পরম্পরাগত বাদ্যযন্ত্ৰ ডবা বাজিয়ে বিজেপি বিরোধী শ্লোগানে পরিবেশ উত্তাল করে তোলেন প্ৰতিবাদীরা। এরআগে উদ্যোক্তারা সভাস্থল মঙ্গলদৈ কলেজের মাঠ থেকে পশ্চিম মঙ্গলদৈ কৃষ্টি সংঘের মাঠে স্থানান্তর করেন। কারণ পুলিশ ও আধা সেনা কলেজ মাঠ কর্ডন করে রাখায় সভাস্থল স্থানান্তর করতে হয়। পুলিশ ওই মাঠে কোনও লোকজনকে ঢুকতেই দেয়নি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধী নয় কংগ্ৰেসঃ অভিষেক সিংভি
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Tinsukia MLA Sanjay Kishan given a warm welcome on his return to his hometown.