গণতান্ত্ৰিক আন্দোলনের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানিয়ে ক্যা প্ৰত্যাহার করা উচিত প্ৰধানমন্ত্ৰীরঃ আসু

গণতান্ত্ৰিক আন্দোলনের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানিয়ে ক্যা প্ৰত্যাহার করা উচিত প্ৰধানমন্ত্ৰীরঃ আসু
Published on

গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে অসমে যে গণতান্ত্ৰিক ও শন্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে তার প্ৰতি প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির শ্ৰদ্ধা জানানো উচিত এবং সেইসঙ্গে উচিত আইনটি তুলে নেওয়া। অন্যথায় এখানে গণ আন্দোলন চলবে। শুক্ৰবার কোকরাঝাড়ে প্ৰধানমন্ত্ৰীর সমাবেশের পর সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ এখানে একথা বলেন। নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অসমের মানুষ মোটেও নিরাপদ বোধ করছেন না বলে উল্লেখ করে আসু নেতা গগৈ দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,‘যদি আইনটি রূপায়ণ করা হয় তাহলে অসমকে বাংলাদেশির বাড়তি বোঝা নিতে হবে। এতে করে রাজ্যের খিলঞ্জিয়া মানুষ তাদের জমি,সংস্কৃতি,পরম্পরা,ভাষা ও অন্যান্য ক্ষেত্ৰে গুরুতর হুমকির মুখোমুখি হবেন’।

ছাত্ৰ নেতা আরও বলেন,‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা ক্যার বিরুদ্ধে আমরা ইতিমধ্যেই সুপ্ৰিম কোর্টে মামলা দাখিল করেছি। তাই ক্যা-র বিরুদ্ধে রাজ্যের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত গণতান্ত্ৰিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি একই সঙ্গে আইনি লড়াইও চলবে’।

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰীর পদ প্ৰার্থী নরেন্দ্ৰ মোদি বিভিন্ন নির্বাচনী সমাবেশে ঘোষণা করেছিলেন যে ২০১৪-র ১৬ মের পরে সব বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে সেই প্ৰসঙ্গ উল্লেখ করে আসু নেতা বলেন,‘প্ৰধানমন্ত্ৰীর ওই প্ৰতিশ্ৰুতি রূপায়ণের সময় এখন এসে গেছে’। ঘটনাক্ৰমে ওই দিনটিতে সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল।

সদ্য স্বাক্ষরিত বোড়ো শান্তি চুক্তির প্ৰসঙ্গে আসু নেতা বলেন,‘আমরা আশা করবো এই চুক্তি বোড়ো মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ করবে। তবে বিটিএডি এলাকায় বসবাসকারী অন্যান্য সম্প্ৰদায়ের মানুষ ও উপজাতিদের নিরাপত্তা ও অধিকারের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

আলফা স্বাধীন সহ রাজ্যের অন্যান্য বিদ্ৰোহী গোষ্ঠীগুলোর প্ৰতি যথা যোগ্য সম্মান দিয়ে তাদের সঙ্গেও শান্তিপূর্ণ ও সদর্থক আলোচনার ব্যবস্থা করারও সুপারিশ করেন গগৈ।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 10 cartons of Arunachali Liquor seized in Biswanath, One Apprehended

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com