গুয়াহাটিঃ গুয়াহাটিকে আশিয়ান দেশগুলির প্ৰবেশদ্বার হিসেবে রূপান্তরের জন্য রাজ্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তারই ফলস্বরূপ মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল গুয়াহাটি-ব্যাংককের মধ্যে প্ৰথম বিমান ওড়ানের ফ্ল্যাগ অফ করেন রবিবার সকালে। গুয়াহাটির বরঝাড় স্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের সঙ্গে প্ৰথম বিমান ওড়ানের এদিন সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্ৰী।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে নক এয়ার গুয়াহাটি-ব্যাংককের মধ্যে এই উড়ান সেবা চালু করেছে। এই বিমানে যাত্ৰীরা তিন ঘণ্টারও কম সময়ে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ব্যাংককের কাছে ডন মুয়েঙে পৌঁছে যাবেন। সপ্তাহে দুদিন উড়ান দেবে বিমানটি।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় মুখ্যমন্ত্ৰী সোনোয়াল বলেন,এই বিমান সেবা চালু করা শুধু বিমান রুটের সম্প্ৰসারণের জন্য নয়,ভবিষ্যতের প্ৰতি লক্ষ্য রেখেই এই সেবা চালু করা হয়েছে,যার মাধ্যমে অসম এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং সেই সঙ্গে শক্তিশালী হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও। সোনোয়াল মনে করেন ব্যাংককের সঙ্গে সরাসরি বিমান সেবা এই অঞ্চলের অগ্ৰগতির পথও প্ৰশস্ত করবে। এই অঞ্চলের বিকাশ ও অগ্ৰগতির বিষয়টি মাথায় রেখেই ভারত সরকার উড়ান স্কিমের অধীনে গুয়াহাটি থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ৬টি দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে স্পাইস জেট গুয়াহাটি-ঢাকার মধ্যে প্ৰথম বিমান ওড়ান চালু করে।
আন্তর্জাতিক বিমান ওড়ান বাবদ অসম সরকার ১০০ কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দ করেছে। আগামি কয়েক মাসের মধ্যে কাঠমান্ডু,ইয়ানগন,হানয় এবং কুয়ালালামপুর-এর সঙ্গে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে। এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
গত বছর ড্ৰুক এয়ার-রয়েল ভুটান এয়ারলাইন্স পারো-গুয়াহাটি-সিঙ্গাপুরের মধ্যে বিমান উড়ান চালু করেছিল। ভারত সরকার উড়ান-২ আঞ্চলিক কানেকটিভিটি স্কিমের অধীনে অসমের ৫টি শহর সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ১৯টি স্থানকে বিমান সেবার আওতায় আনার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করে। এই পদক্ষেপের ফলে অঞ্চলের ব্যাপক সংখ্যক মানুষ কম খরচে বিমানে যাতায়াত করতে পারবেন। কেন্দ্ৰীয় সরকার এলজিবিআই বিমান বন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে। ১৯৫৮ সালে স্থাপিত গুয়াহাটির এলজিবিআই বিমানবন্দরটির সম্প্ৰসারণ ও সংস্কারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে এই বিমানবন্দর থেকে ৩.৭ মিলিয়ন যাত্ৰী যাতায়াত করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে যাত্ৰী সংখ্যা বৃদ্ধির এই হার হচ্ছে ৩৬ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালে ৫৫,০৬৬ বিমান চলাচল করেছে এই বিমান বন্দর থেকে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ তিনসুকিয়ায় রেলওয়ে উড়াল সেতুর শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্ৰী
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: 9 killed, 15 injured in head on collision in Demow | The Sentinel News | Assam News