নয়াদিল্লিঃ অপরাধের সঙ্গে জড়িত শক্তিগুলোকে রাজনীতির বাইরে রাখতে কিছু পাকাপোক্ত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সুপ্ৰিমকোর্ট শুক্ৰবার একথা বলেছে। বিচারপতি আরএফ নরিম্যান এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্ৰ ভাটকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ রাজনীতিতে অপরাধ যুক্ত হওয়ার ইস্যুটি নিয়ে উদ্বেগ প্ৰকাশ করেন। বেঞ্চ সেই সঙ্গে রাজনীতিকে অপরাধ মুক্ত করতে ব্যবস্থা গ্ৰহণের সুপারিশ করে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পাঁচ সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্ৰমে জানিয়েছিল যে সব নির্বাচনী প্ৰার্থীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঝুলছে,তাদের প্ৰত্যেককে নির্বাচনে লড়ার আগে ওই সব মামলার কথা নির্বাচন কমিশনের কাছে ঘোষণা করতে। শীর্ষ আদালত বলেছে,রাজনৈতিক দলগুলির এধরনের তথ্যাদি তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরা প্ৰয়োজন। প্ৰার্থী এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল এধরনের ঘোষণা দিতে বিভিন্ন প্ৰচার মাধ্যমে তাদের ব্যাপক প্ৰচার অভি্যান সুনিশ্চিত করা উচিত।
নির্বাচন কমিশন শীর্ষ আদালতকে বলেছে যে নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক প্ৰার্থীদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্ৰচার মাধ্যমে প্ৰকাশ করার এই নির্দেশিকা খুব একটা সহায়ক হবে না। কমিশন সুপারিশ করেছে,যে সব প্ৰার্থীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের টিকিট না দিতে বলাটাই সমীচীন হবে।
‘হলফনামায় শুধু অপরাধের কথা প্ৰকাশ করলেও এক্ষেত্ৰে বিশেষ সহায়ক হবে না’-নির্বাচনী কমিটির কৌঁশুলি কোর্টকে বলেছেন একথা। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে শীর্ষ আদালত আবেদনকারী,বিজেপি নেতা,আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় এবং নির্বাচন কমিটিকে এক সঙ্গে বৈঠকে বসে একটা পাকাপোক্ত সুপারিশ রাখতে বলেছে,যার মাধ্যমে রাজনীতিকে অপরাধ মুক্ত করার চূড়ান্ত প্ৰক্ৰিয়া শুরু করা যেতে পারে। কোর্ট নির্বাচনী সংস্থাকে এক সপ্তাহের মধ্যে একটা ফ্ৰেমওয়র্ক প্ৰস্তুত করতে বলেছে,অপরাধীদের রাজনীতির অঙ্গনে প্ৰবেশ ঠেকাতে। রাজনীতি অপরাধ মুক্ত হলে প্ৰকৃতার্থে রাষ্ট্ৰের স্বার্থও সুরক্ষিত হবে। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে,রাজনীতি থেকে অপরাধীদের হঠানোর ব্যবস্থা সঠিক ও সত্য অর্থে রূপায়িত হলে তা দেশের গণতান্ত্ৰিক কাঠামোকেও শক্তিশালী করবে।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ রাজ্যের মুসলিমদের অসমিয়াকে মাতৃভাষা হিসেবে গ্ৰহণ করতে বলবো,সাহিত্য সভাকে আশ্বাস আজমলের
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Stage Set for Republic Day 2020 Celebrations in Guwahati